মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা একটি বিষবৃক্ষ

মাদ্রাসা সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর- ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই উক্তি নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়। ইসলামিক মৌলবাদী এবং তাদের দালাল সেকুলার ব্রিগেডের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হয় বুদ্ধদেববাবুকে। কিন্তু অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়? উল্কার বেগে বাড়তে থাকা মাদ্রাসার সংখ্যা আজ রীতিমত আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পরে এনআইএ রাজ্যের কয়েকটি মাদ্রাসায় তল্লাসী চালায় এবং তা থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে চলে আসে। পরবর্তীকালে জেএমবি এমনকি আল-কায়দার সাথে যুক্ত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরা পড়ে, যাদের সাথে মাদ্রাসার সুস্পষ্ট সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। এই কারণেই মাদ্রাসা শব্দটা আজ যথেষ্ট পরিচিত এবং বিতর্কিত। কিন্তু মাদ্রাসা সম্পর্কে আমরা কতটা জানি?

অনেকেই মনে করেন মাদ্রাসা মানে পাঠশালা বা স্কুল। কিন্তু সাধারণ পাঠশালা বা স্কুলের সাথে মাদ্রাসার পার্থক্য হল এই যে, মাদ্রাসা হল ইসলামের মৌলিক (Fundamental) তত্ত্ব শিক্ষার পাঠশালা। এই শব্দটি আরবি শব্দ দারসুন থেকে উদ্ভূত যার অর্থ ‘পাঠ’। মাদ্রাসা মূলত মুসলমানদের আরবি ভাষাশিক্ষা, ইসলামের অধ্যয়ন এবংগবেষণার প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর মক্তব, নূরানি বা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে অভিহিত। ফোরকানিয়া শব্দের মূল ফুরকান যার অর্থ বিশিষ্ট। মিথ্যা থেকে সত্যকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করার দাবি রাখে বলে কোরানের আরেক নাম আল-ফুরকান। প্রাথমিক স্তরের যেসব মাদ্রাসায় কোরান পাঠ ও আবৃত্তি শেখানো হয় সেগুলিকে বলা হয় দর্‌সে কুরআন। সাধারণত স্থানীয় কোন মসজিদেই আশেপাশের পরিবারের ছোটদের প্রাথমিক পর্যায়ের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়।মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরাই সাধারণত এর শিক্ষক বা উস্তাদ হন। মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতির মৌলিক পাঠ্যসূচীকে বলা হয় দারস-ই-নিজ়ামি। মাদ্রাসায় পঠন পাঠন সাধারণত আরবি ভাষায় দেওয়া হয়; স্থানীয় ভাষা সেস্থানে সর্বদাই উপেক্ষিত। কোরান, হাদিশ, সিরাত (হযরত মহম্মদের জীবনী) ছাড়া শিশুরা যা শেখে তা হল ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাস। বিশেষ করে ইসলাম যেসব দেশ দখল করেছে, সেসবের সামরিক ইতিহাস। এইভাবে ধীরে ধীরে তাদের মগজে জিহাদের বীজ বপন করা হয়। সকলের জানা উচিত যে ইসলামে কাফেরদের বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন যুদ্ধের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ ইসলাম কবুল করছে এবং সমগ্র পৃথিবীর উপরে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠত না হচ্ছে — জিহাদ জারি থাকবে।

জনৈক ইসলামিক পণ্ডিত শ্রী দেবেন্দ্র মিত্তল তাঁর হিন্দি পুস্তক “হিন্দুস্তান মেঁ মাদ্রাসা” গ্রন্থে (৬৭ থেকে ৭৪ তম পাতা) লিখেছেন যে, মাদ্রাসায় শুধু এটাই শেখানো হয় — তোমরা শুধু আল্লাহকে মান্য করবে; কিন্তু মাতৃভূমি হিসেবে কোনও দেশকে নয়। একইসাথে মাদ্রাসায় অমুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়, ভয় দেখানো হয় যে; ওদের সাথে বন্ধুত্ব করলে ওদের মতই তুমিও নরকে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা মাদ্রাসাগুলিতে দুটো জিনিস শিক্ষার্থীদের মগজে গেঁথে দেওয়া হয়— অমুসলমানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে এবং সম্ভব হলে সর্বত্র গণতন্ত্রের জায়গায় শরিয়া-র শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১৯৪৭ সালে সদ্য বিভাজিত হওয়া ভারতে মোট মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৮; বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে সরকার অনুমোদিত এবং খারিজি (অনুমোদন বিহীন) মিলিয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা ৬ হাজারের আশপাশে, যার মধ্যে খারিজি মাদ্রাসার সংখ্যাই পাঁচ হাজারের উপরে। এই বিপুল সংখ্যক খারিজি মাদ্রাসার উপরে সরকারের কোনও রকমের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই লাগামছাড়া মাদ্রাসাগুলোতে মুসলমান শিশু এবং কিশোরদের মনে যেভাবে অসহিষ্ণু আব্রাহামিক মতবাদের বীজ বপন করা হচ্ছে তাতে ভরতের মাটিতে Clash of Civilisation বা সভ্যতার সংঘাত অদূর ভবিষ্যতে একটা চরম রক্তক্ষয়ী রূপ নেবে।

২০১০ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহ ধরে এ রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুরে দেখে। আনন্দবাজার পত্রিকা তার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০১০ সংখ্যায় গর্ব সহকারে লিখেছিল, “ফেরার আগে ঢাকার প্রতিনিধিরা জানিয়ে গিয়েছেন, সফর ব্যর্থ হয়নি। যে অভিজ্ঞতা তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশের উদ্যোগ সফল করতে তা খুবই সহায়ক হবে। তাঁরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার এই ‘উৎকর্ষের’ পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হল: ● পশ্চিমবঙ্গে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার ফারাক নেই। (এটা ডাহা মিথ্যে। তাহলে, মূল ধারার স্কুল না খুলে ইসলামী মাদ্রাসা খুলতে হবে কেন?) ● মাদ্রাসার পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত।● এ রাজ্যের মাদ্রাসায় অমুসলিম পড়ুয়ার সংখ্যাও যথেষ্ট।● শিক্ষক নিয়োগ হয় সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে।● সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক অবস্থান ভাল।” বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা “পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসায় অমুসলিম ছাত্রছাত্রীর বহর দেখেও তাঁরা কার্যত অভিভূত। বর্ধমানের ওরগ্রামের এক মাদ্রাসায় তো অমুসলিম পড়ুয়াই ৬২%! বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রালয়ের তৎকালীন ডেপুটি সেক্রেটারী নজরুল সাহেবের কথায়, “এই ব্যাপারটা ভীষণই ভাল লাগল।” ভাল লাগারই কথা। হিন্দুর ছেলেরা একেবারে ছোটবেলা থেকে শিখছে কাফের হওয়ার জন্য তাদের দোজখে যেতে হবে, যদি না তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এবং এরপর বাংলাদেশে হিন্দুদের মাদ্রাসায় পড়তে আপত্তি করার কোন যুক্তি থাকতে পারে না। পশ্চিম বাংলার তৎকালীন মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী (কংগ্রেসী আমলে একজন শিক্ষামন্ত্রীই যথেষ্ট ছিল, কমিউনিস্টরা দ্বীনের স্বার্থে আলাদা মন্ত্রী বানিয়েছিলেন) কমরেড আবদুস সাত্তার এই প্রসঙ্গে বলছিলেন, “আমরা কীভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থা চালাচ্ছি, ওঁরা মূলত তা দেখতে এসেছিলেন। আমাদের ব্যবস্থা ওঁদের যে ভাল লেগেছে, তা জেনে আমাদেরও ভাল লাগছে।” বাংলাদেশের পত্রিকা ‘নয়া দিগন্ত’ তার ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১০ (৮ মহরম, ১৪৩২) সংখ্যায় লিখেছিল যে “পশ্চিম বঙ্গের মন্ত্রী আবদুস সাত্তার বলেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে যাচ্ছে“। অর্থাৎ বাম জমানা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষার ইসলামীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পর্যন্ত পথ দেখিয়েছে এবং এই প্রসঙ্গে বামেদের যোগ্য উত্তরসূরী রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সব কাজে খুঁত খুজে পান শুধু শিক্ষার ইসলামীকরণ ও তসলিমা বিতাড়নে তিনি মার্ক্সবাদীদের নীরব সমর্থক।

পশ্চিম বাংলার কমিউনিস্টরাই কি শুধু ইসলামের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন? বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল সেই উত্তর খুঁজতে পৌছে গিয়েছিলেন ভারতের আরেক ঘোর কমিউনিস্ট রাজ্য কেরলে। তাদের ইসলাম সেবার ঐতিহ্য তো পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কোন কম নয়। সেই ১৯৫৯ সালে কমরেড নাম্বুদ্রিপাদ মুসলিম লীগের হাত ধরে কমিউনিস্ট সরকার গঠন করেছিলেন কেরল রাজ্যে। ভারত বিভাগের ক্ষত, তখনো তাজা এবং মোপলা নরসংহারের কারণে তখন ‘মুসলিম লীগ’ একটি ঘৃণিত নাম। তবুও পিছু হটেন নি কমরেড নাম্বুদ্রিপাদ। সেই বামৈসলামিক মধুর সম্পর্ক আজও অটুট বিভিন্ন রূপে। নয়া দিগন্তে ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১০ (১৮ মহরম, ১৪৩২) সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে লেখা হল, “ কেরালায় মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি বেসরকারি উদ্যোগে বা সরাসরি মুসলিম সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয়। এসব মাদ্রাসায় ইসলামি চরিত্র ও শিক্ষা দীক্ষাকে বিনষ্ট না করেও আধুনিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এমনকি আধুনিক শিক্ষাপ্রণালীও সেখানে প্রয়োগ করা হয়, যার সাথে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ভারতের বাঁধা ধরা খাতের মাদ্রাসাগুলোর চরিত্র ও শিক্ষাকাঠামোর কোন মিলই নেই। কেরালা এটা করে দেখিয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্র ও পার্টির কুক্ষিগত পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড তা করতে পারেনি, বিড়ম্বনা এখানেই।”

যাইহোক, এখন অনেকেই হয়তো জাস্টিস সাচারের রিপোর্টের উল্লেখ করে বলবেন যে এই রিপোর্টের ৭৬ নং পৃষ্ঠায় তিনি দাবি করেছেন — ‘মাত্র ৪% মুসলিম শিশু নিয়মিত মাদ্রাসা যায়’। তার এই দাবী সর্বৈব মিথ্যা। ভারতের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে জাস্টিস সাচার ইচ্ছাকৃত ভাবে মাত্র ৭ থেকে ৯ বছরের শিশুদের এই তালিকায় রেখেছেন, ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের এই তালিকায় রাখেন নি। রাখলে সংখ্যা ৪% হত না। সবচেয়ে মজার বিষয় হল ঐ রিপোর্টের ৭৭ নং পৃষ্ঠায় তিনি স্বীকার করেছেন, এখানে মাদ্রাসা মানে সেইসব মাদ্রাসা, যা মসজিদের সাথে যুক্ত নয়! অথচ সকলেই জানেন যে অধিকাংশ মাদ্রাসাই মসজিদের সাথে যুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে অসহিষ্ণু আব্রাহামিক মতবাদের শিক্ষাদান করা হয়। বাস্তব এটাই যে কমপক্ষে ৫০% ভারতীয় মসজিদের সাথে মাদ্রাসা যুক্ত আছে এবং সেখানে কমপক্ষে ৮-১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।

মাদ্রাসার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে একটি আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। সৌদি আরব একাই প্রতি বছর প্রায় আড়াই কোটি ডলার ভারত, নেপাল আর বাংলাদেশে মাদ্রাসার পিছনে ব্যয় করে। উদ্দেশ্য একটাই- দারুল ইসলামের প্রতিষ্ঠা করার জন্য অধিকাধিক সংখ্যায় জেহাদী তৈরি করা। আর এই জেহাদী তৈরির কারখানা হল মাদ্রাসা। কোনও সরকারই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক এই ইস্যুটিকে গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করছে না। উন্নয়ন অথবা বিকাশ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। বরং অনেকেই ভোট রাজনীতির স্বার্থে এই ভয়ংকর বিপদকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে আছে সর্বমোট ৬ হাজার মাদ্রাসা, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১০ হাজার মাদ্রাসাকে নাকি উনি অনুমোদন দেবেন! ২০১৩ সালের শুরুতে ২০ টি ইসলামিক দেশ থেকে প্রায় ২৫,০০০ ওয়াহাবিবাদী ইসলামিক পণ্ডিত ভারতের দেওবন্দে এসেছিলেন। তারা ৮ ভারতীয় রাজ্যে এবং ৭,০০০ মাদ্রাসায় ঘুরেছিলেন। তারা ১২ লাখ মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেওছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন আবার বেআইনিভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় ভ্রমণও করেছিলেন। এখানে নিশ্চয়ই বলার দরকার নেই যে, এই ২৫,০০০ ওয়াহাবিবাদী পণ্ডিতরা ছাত্রছাত্রীদের কী শিক্ষা দিতে এসেছিলেন! তৎকালীন ইউপিও সরকারের প্রশ্রয় ছাড়া কি এটা সম্ভবপর ছিল? বর্তমান কেন্দ্র সরকারও এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা নেই। তবে এবিষয়ে অসমের শিক্ষামন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ভূমিকা প্রশংসার দাবী রাখে। উনি একমাত্র রাজনৈতিক নেতা যিনি রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিধাসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পি এফ আইয়ের গোপন কার্যকলাপ জাতীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত সংস্থাগুলোকে যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে। সি এ এ বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে ওই সংস্থার সদস্যদের কার্যকলাপের রিপোর্ট এসেছিলো গোয়েন্দা কর্তাদের হাতে। সূত্রের খবর রাজ্যে বাছাই করা জেলাগুলোতে অর্থাৎ মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং হাওড়া জেলায় ওই সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় দেশবিরোধী কিছু বিভেদকামীরা হাত মিলিয়েছে। এই ধরনের সংগঠনের লোকেরা সাধারণত মাদ্রাসা এবং মসজিদ গুলোকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সদস্যদের খুঁজে বেড়ায় এবং সদস্য নিয়োগ করে।

এই প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান মাদ্রাসার নোটওয়ার্ক দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ভয়ংকর বিপদ। মাদ্রাসার মূল উদ্দেশ্য শিশু বয়স থেকেই মুসলমানদের মনের মধ্যে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসগুলি প্রতিষ্ঠিত করা, যে বিশ্বাস অনুযায়ী অমুসলমানরা কাফের, তারা মুসলমানদের শত্রু এবং এদের হত্যা অথবা ধর্মান্তরিত করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। এই বিশ্বাস অনুযায়ী সমগ্র পৃথিবীতে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জেহাদ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। এই বিষবৃক্ষকে সার-জল দিলে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। তাই মাদ্রাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হোক।

One comment

  1. অশান্তি প্রিয় মানুষের কাছে আমাদের অনেক কিছুই শিখতে হবে।

    ১- রাজনীতি
    ২- ত্যাগ (প্রাণ ত্যাগ করতে )
    ৩- সমর্পণ (নিজের ধর্ম/সম্রাদায়ের প্রতি)
    ৪- নিজের ধর্মের/সম্প্রদায়ের প্রতি অটুট ভালবাসা
    ৫- যুদ্ধ নীতি ( খুবই কম সময়ের মধ্যে কি করে বিরোধী কে সেস করা যায়)
    ৬ – উচ্চ নেতৃত্বের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা,বিশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *